স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আরো ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনায় ৫১০ জনকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতের নেতা-কমর্ী ও সমর্থক। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী রয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৭ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। এদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সদ্যপদত্যাগী মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীও রয়েছেন।
শনিবার (২৯ মে) দুপুরে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়।
এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোককে আসামী করা হয়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৫১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তান্ডবের ঘটনার সময়ের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কমর্ীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply